বিশ্ব খবর

৩৬৬টি আন-এডেড মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতনসহ দাবিতে কলকাতায় বিক্ষোভ মিছিল–ডেপুটেশন

৩৬৬টি আন-এডেড মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতনসহ দাবিতে কলকাতায় বিক্ষোভ মিছিল–ডেপুটেশন

সমরেশ রায় , কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) : ২৫ শে নভেম্বর মঙ্গলবার, দুপুর ১২:০০ টায়, ওয়েস্ট বেঙ্গল রিকোনাইজড আন-এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন এর উদ্যোগে, কয়েকশো মাদ্রাসা শিক্ষক, শিয়ালদা স্টেশনের জমায়েত হয়ে, বেলা ১টা নাগাদ মিছিল করে  এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং এ হাজির হন, সারা রাস্তায় তাদের স্লোগান ছিল অবিলম্বে শিক্ষকদের বেতন দিতে হবে। এবং মিড ডে মিল চালু করতে হবে, মাদ্রাসা স্কুল গুলোর উন্নয়ন করতে হবে।  মিছিল করে ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং এ পৌঁছালে শিক্ষকরা রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়েন এবং সমস্ত যান চলাচল বন্ধ করে দেন কিছুক্ষণের জন্য,  প্রত্যেকের হাতে ছিল প্লাকার ও থার্মোকলের থালা , বিভিন্ন দাবি নিয়ে লেখা। মিছিলে সবার আগে ছিল চপ শিল্পের একটি মডেল, পুলিশের মধ্যস্থতায় তারা ডরিনা ক্রসিং থেকে ওয়াই চ্যানেলে হাজির হন। তারা বলেন যতক্ষণ না আমাদের দাবী মেনে নিচ্ছেন আমরা এ রাস্তা ছাড়বো না।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জামাল উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ মোজাফফিল হক, কাদীর হোসেন,  জাহাঙ্গীর আলম, জারিফুল ইসলাম মানিক হোসেন, ইয়াজুল মোল্লা, আব্দুল কাদের ,মাজারুল ইসলাম।
এবং মিছিলে উপস্থিত হন হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট, জনাব সবু আহমেদ ও সৈয়দ চন্দন হোসেন। 

যদিও তাদের এই বিশাল মিছিল শিয়ালদা থেকে কালীঘাট যাওয়ার কথা ছিল এবং সেখানে ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পুলিশ প্রশাসন তাহাদের মিছিল আটকে দেওয়ায়, তারা ওয়াই চ্যানেলে মিছিল শেষ করেন এবং ৫ জনের প্রতিনিধিদল নবান্নে গিয়ে ডেপুটেশন দেন, তবে তারা একটা কথাই বললেন, যদি আমাদের দাবী মেনে না নেয় এবং শিক্ষকদের বেতন না দেন, তাহলে আজকে কম সংখ্যক শিক্ষক মিছিলে অংশগ্রহণ করায় আমাদের মিছিল আটকে দিয়েছে, এরপর আমরা দেখিয়ে দেবো কী ভাবে পথ অবরোধ করতে হয় ,আর দাবী আদায় করে নিতে হয়, কেউ আমাদের আটকে রাখতে পারবেনা। ৩৬৬ টি মাদ্রাসা অনুমোদনের পর ১১ মাস ধরে বেতনহীন বঞ্চিত শিক্ষক, তারা ছাত্র-ছাত্রীদের কারিগর, তাদের বেতন না দিয়ে শুধু খেলা-মেলা চলছে। আমাদেরও পরিবার আছে। ছেলে-মেয়ে আছে ।

 আর নয় ভাউতা, আমাদের বেতন অবিলম্বে দিতে হবে।, ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিল চালু করতে হবে, মাদ্রাসা স্কুলগুলির গুলির উন্নয়ন করতে হবে। সমস্ত স্কুলের শূন্য পদ পুরণ করতে হবে, আগে  শিক্ষকদের বেতন তারপর উন্নয়ন, এছাড়াও পড়ুয়াদের সব রকম সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। 
আমরা আশা করব আমাদের দাবি গুলি মেনে নেবেন।